স্ত্রীর যৌন ইচ্ছা কমে গেলে করণীয় | মেয়েদের যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার কারণ
মেয়েদের যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার কারণ : স্বামী স্ত্রীর যৌনতা মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বিশাল এক নেয়ামত যার শুকরিয়া আদায় করে শেষ করা যাবে না। স্বামী স্ত্রী যৌন মিলনের মাধ্যমে পরস্পর চরম আনন্দ ও পুলক লাভ করে থাকে। এটার জন্যই মূলত পৃথিবীটা এত সুন্দর । এই যৌনতার কারণেই নবদম্পতির মধ্যে এত আকর্ষণ, এত ভালবাসা।
কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে বিয়ের কয়েক বছর পার হতে না হতেই কোনো কোনো স্ত্রীর মধ্যে হঠাৎ করেই মারাত্মক যৌন অনীহা দেখা দেয়।স্বামীর আহ্বানে সাড়া দিতে মন চায় না, স্বামী ধরতে চাইলে বাঁধা দেয়।ফলশ্রুতিতে স্বামীর মধ্যে স্ত্রীর প্রতি এক ধরনের অসন্তোষ জন্ম নিতে থাকে। শুরু হতে থাকে দাম্পত্য জীবনে নানান কলহ, পরক্রিয়া, ও সংসার ভাঙ্গন।
আজকের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে মেয়েদের যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার কারণ গুলো সম্পর্কে।আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে মেয়েদের যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার কারণ গুলো সনাক্ত করতে পারবেন।পাশাপাশি স্ত্রীর যৌন ইচ্ছা কমে গেলে করণীয় কী সে সম্পর্কে কার্যকরী কিছু উপায় শেয়ার করেছি যেগুলো ঠিকঠাক ভাবে প্রয়োগ করতে পারলে স্ত্রীর মনে যৌন ইচ্ছা ও কামভাব জাগ্রত হবেই হবে।
মেয়েদের যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার লক্ষণ সমুহ:
মেয়েদের যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার লক্ষণ সমুহ হলো যৌন মিলনের প্রতি অনীহা, মনের মধ্যে যৌন সুড়সুড়ি অনুভূত না হওয়া, সহবাসে ইচ্ছা না জাগা, পুরুষের স্পর্শে কাম উত্তেজনা জাগ্রত না হওয়া, স্পর্শকাতর জায়গা গুলোতে স্বামী হাত দিলে বিরক্তবোধ করা।
মেয়েদের যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার কারণ:
নানা কারণে মহিলাদের যৌন চাহিদা কমে যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে কিছু মানসিক কারণ, কিছু শারীরিক কারণ। তবে আশার কথা হলো মানসিক বা শারীরিক যে কারণেই হোক মেয়েদের যৌন চাহিদা কমে গেলে এর থেকে পরিত্রাণের সুন্দর সমাধান আছে। মেয়েদের যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার কারণ গুলো কী কী নিচে আলোচনা করা হলো
স্বামীদের উদ্দেশ্যে বলছি ' স্ত্রীর যৌন ইচ্ছা কমে গেলে মোটেও বিচলিত হবেন না। ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে । স্ত্রীর সাথে প্রেমপূর্ণ ও আবেগময় সম্পর্ক তৈরি করুন। স্ত্রীকে অতিরিক্ত ভালবাসুন। দেখবেন ওনি নিজে থেকেই নিজেকে আপনার কাছে সঁপে দিচ্ছে।
মনে রাখবেন এই রকম সমস্যা হতেই পারে। অস্বাভাবিক কিছু না। স্ত্রীর যৌন ইচ্ছা কমে গেলে স্ত্রীকে কোনো রকম গালাগালি কিংবা Force করবেন না। এতে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। যতটা সম্ভব ঘনিষ্ঠ থাকার চেষ্টা করবেন। আমি অন্য একটা পোস্টে মহিলাদের যৌন চাহিদা বাড়ানোর উপায় শিরোনামে চমৎকার একটা লেখা প্রকাশ করেছি যেটা পড়ে স্ত্রীর যৌন ইচ্ছা কমে গেলে করণীয় কি তা জেনে এই ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ ।
নানা কারণে মহিলাদের যৌন চাহিদা কমে যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে কিছু মানসিক কারণ, কিছু শারীরিক কারণ। তবে আশার কথা হলো মানসিক বা শারীরিক যে কারণেই হোক মেয়েদের যৌন চাহিদা কমে গেলে এর থেকে পরিত্রাণের সুন্দর সমাধান আছে। মেয়েদের যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার কারণ গুলো কী কী নিচে আলোচনা করা হলো
কলহপূর্ণ দাম্পত্য:
দাম্পত্য জীবন কলহপূর্ণ থাকলে যৌন মিলনের ইচ্ছা কখনোই জাগ্রত হবে না। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ঘৃনা বা অসন্তুষ্টি থাকলে স্ত্রী যৌন মিলনে অংশগ্রহণ করতে কখনোই রাজি হবেনা । দুশ্চিন্তা:
মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, বিষন্নতা, উদ্বেগ এগুলো মানুষের স্বাভাবিক যৌন জীবনের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। দুশ্চিন্তা এ্যাডরিনাল গ্রন্থি ইস্ট্রোজেন এবং টেস্টিস্টেরন হরমোন সৃষ্টিতে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে যৌনতার প্রতি অনীহা সৃষ্টি হয়।
মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, বিষন্নতা, উদ্বেগ এগুলো মানুষের স্বাভাবিক যৌন জীবনের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। দুশ্চিন্তা এ্যাডরিনাল গ্রন্থি ইস্ট্রোজেন এবং টেস্টিস্টেরন হরমোন সৃষ্টিতে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে যৌনতার প্রতি অনীহা সৃষ্টি হয়।
কিছু কিছু রোগের কারণে:
কিছু কিছু রোগ আছে যেমন ডায়াবেটিস , হৃদরোগ , কিডনি সমস্যা , উচ্চ রক্তচাপ এগুলো মহিলাদের স্নায়ুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে শরীরে হরমোনের অসামঞ্জস্যতা সৃষ্টি করে যা নারীর সেক্স ড্রাইভের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
কিছু কিছু রোগ আছে যেমন ডায়াবেটিস , হৃদরোগ , কিডনি সমস্যা , উচ্চ রক্তচাপ এগুলো মহিলাদের স্নায়ুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে শরীরে হরমোনের অসামঞ্জস্যতা সৃষ্টি করে যা নারীর সেক্স ড্রাইভের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের শিকার:
অনেক কিশোরীই শৈশবে ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে থাকে। পরিবারের কোনো পুরুষ সদস্যের দ্বারা ধর্ষণ বা অন্যান্য যৌন নির্যাতনের শিকার হতে দেখা গেছে। সেই কারণেই যৌনতা নিয়ে এক ধরনের ঘৃনা জন্ম নিয়েছে মনের মধ্যে। ফলে যৌন মিলনের ইচ্ছাটাই হারিয়ে গিয়েছে পুরোপুরি। এক ধরনের যৌন ভীতি ও আতঙ্ক বাসা বাঁধে মনের মধ্যে।
অনেক কিশোরীই শৈশবে ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে থাকে। পরিবারের কোনো পুরুষ সদস্যের দ্বারা ধর্ষণ বা অন্যান্য যৌন নির্যাতনের শিকার হতে দেখা গেছে। সেই কারণেই যৌনতা নিয়ে এক ধরনের ঘৃনা জন্ম নিয়েছে মনের মধ্যে। ফলে যৌন মিলনের ইচ্ছাটাই হারিয়ে গিয়েছে পুরোপুরি। এক ধরনের যৌন ভীতি ও আতঙ্ক বাসা বাঁধে মনের মধ্যে।
বয়স বৃদ্ধি:
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের যৌন মিলনে আগ্রহ কমতে থাকে। বয়স চল্লিশের পর যৌন ইচ্ছা অনেকটাই কমে যায়। তবে সব নারীদের ক্ষেত্রে এমনটা নাও হতে পারে।
যৌনাঙ্গে ব্যথা:
যৌনমিলনের সময় অনেক নারী যৌনাঙ্গে প্রচন্ড ব্যথা পেয়ে থাকে। এই ব্যথার ফলে অনেক নারীর মধ্যে যৌন ভীতি তৈরি হয় ফলে পুরুষের সাথে যৌন মিলনে রাজি হতে চায় না।
যৌনমিলনের সময় অনেক নারী যৌনাঙ্গে প্রচন্ড ব্যথা পেয়ে থাকে। এই ব্যথার ফলে অনেক নারীর মধ্যে যৌন ভীতি তৈরি হয় ফলে পুরুষের সাথে যৌন মিলনে রাজি হতে চায় না।
ধুমপান বা মাদকাসক্তি:
দীর্ঘ দিন মাদক জাতীয় দ্রব্য সেবনে আসক্ত থাকলে নারীর যৌন আকাঙ্ক্ষা একেবারেই হারিয়ে যেতে পারে। বিড়ি, সিগারেটের মধ্যে থাকে নিকোটিন যা যৌন আকাঙ্ক্ষা বা যৌন উত্তেজনাকে প্রশমিত করে।
দীর্ঘ দিন মাদক জাতীয় দ্রব্য সেবনে আসক্ত থাকলে নারীর যৌন আকাঙ্ক্ষা একেবারেই হারিয়ে যেতে পারে। বিড়ি, সিগারেটের মধ্যে থাকে নিকোটিন যা যৌন আকাঙ্ক্ষা বা যৌন উত্তেজনাকে প্রশমিত করে।
ঘুমের অভাব:
একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের দৈনিক সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ভাল ঘুম না হলে কোনো কিছুই যেমন ভালো লাগেনা তেমনি যৌনতাকে বিরক্তিকর মনে হয়।
একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের দৈনিক সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ভাল ঘুম না হলে কোনো কিছুই যেমন ভালো লাগেনা তেমনি যৌনতাকে বিরক্তিকর মনে হয়।
অ্যান অর্গাজমিয়া:
চুড়ান্ত যৌন মিলনের সময় অনেক মহিলারই অর্গাজম হয়না। সেক্সুয়াল স্টিমুলেশন থাকা সত্ত্বেও অর্গাজম না হওয়ার পেছনে বড় কারণ হলো অনেক নারী যৌন সঙ্গমকে একটা নিয়ম বা দায়িত্ব হিসেবে দেখেন। যৌনমিলন যে নর নারীকে শারীরিক আনন্দ দিতে পারে এটা তারা অনুভব করে না। মোট কথা যৌনতা সম্পর্কে তাদের মনের মধ্যে কোনো ফিলিংস কাজ করে না। এর পিছনে কিছু হরমোনাল বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে আশা করি এই সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
চুড়ান্ত যৌন মিলনের সময় অনেক মহিলারই অর্গাজম হয়না। সেক্সুয়াল স্টিমুলেশন থাকা সত্ত্বেও অর্গাজম না হওয়ার পেছনে বড় কারণ হলো অনেক নারী যৌন সঙ্গমকে একটা নিয়ম বা দায়িত্ব হিসেবে দেখেন। যৌনমিলন যে নর নারীকে শারীরিক আনন্দ দিতে পারে এটা তারা অনুভব করে না। মোট কথা যৌনতা সম্পর্কে তাদের মনের মধ্যে কোনো ফিলিংস কাজ করে না। এর পিছনে কিছু হরমোনাল বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে আশা করি এই সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
মেনোপোজ:
মেনোপজের পর নারীর শরীর থেকে সেক্স হরমোন যেমন প্রোজেস্টেরন , এন্ড্রোজেন বা টেস্টোস্টেরন নিঃসরণের পরিমাণ অনেক কমে যায়। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীরা তাদের স্বামীর সঙ্গে যৌন মিলনের আকাঙ্ক্ষা হারিয়ে ফেলেন।মেয়েদের যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে আলোচনা করার পর এখন আলোচনা করব স্ত্রীর যৌন ইচ্ছা কমে গেলে করণীয় কী এই সম্পর্কে
মেনোপজের পর নারীর শরীর থেকে সেক্স হরমোন যেমন প্রোজেস্টেরন , এন্ড্রোজেন বা টেস্টোস্টেরন নিঃসরণের পরিমাণ অনেক কমে যায়। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীরা তাদের স্বামীর সঙ্গে যৌন মিলনের আকাঙ্ক্ষা হারিয়ে ফেলেন।মেয়েদের যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে আলোচনা করার পর এখন আলোচনা করব স্ত্রীর যৌন ইচ্ছা কমে গেলে করণীয় কী এই সম্পর্কে
স্ত্রীর যৌন ইচ্ছা কমে গেলে করণীয়
হাসিখুশি ও সুখী সুন্দর দাম্পত্য সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য স্বামী স্ত্রীর মধুর যৌন মিলন বিশাল এক ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে বিয়ের ক'বছর পার হতে না হতেই স্ত্রীর যৌন চাহিদা হঠাৎ কমে যাওয়ায় স্বামীকে অনেকটাই বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। দাম্পত্য জীবনে নেমে আসতে থাকে ঘোর অন্ধকার। পরক্রিয়া, সংসার ভাঙ্গনের মতো ঘটনা ঘটতেও দেখা যায়।স্বামীদের উদ্দেশ্যে বলছি ' স্ত্রীর যৌন ইচ্ছা কমে গেলে মোটেও বিচলিত হবেন না। ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে । স্ত্রীর সাথে প্রেমপূর্ণ ও আবেগময় সম্পর্ক তৈরি করুন। স্ত্রীকে অতিরিক্ত ভালবাসুন। দেখবেন ওনি নিজে থেকেই নিজেকে আপনার কাছে সঁপে দিচ্ছে।
মনে রাখবেন এই রকম সমস্যা হতেই পারে। অস্বাভাবিক কিছু না। স্ত্রীর যৌন ইচ্ছা কমে গেলে স্ত্রীকে কোনো রকম গালাগালি কিংবা Force করবেন না। এতে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। যতটা সম্ভব ঘনিষ্ঠ থাকার চেষ্টা করবেন। আমি অন্য একটা পোস্টে মহিলাদের যৌন চাহিদা বাড়ানোর উপায় শিরোনামে চমৎকার একটা লেখা প্রকাশ করেছি যেটা পড়ে স্ত্রীর যৌন ইচ্ছা কমে গেলে করণীয় কি তা জেনে এই ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ ।