দ্রুত বীর্যপাতের স্থায়ী চিকিৎসা । ১০০% গ্যারান্টি - আর হবেনা দ্রুত বীর্যপাত premature ejaculation
দ্রুত বীর্যপাত হচ্ছে যৌন মিলনের সময় পুরুষাঙ্গ যোনিপথে প্রবেশের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বীর্যস্খলন ঘটে যাওয়া। অনেকের ক্ষেত্রে আবার পুরুষ লিঙ্গ যোনিতে প্রবেশের আগেই বীর্যপাত হয়ে যায়। ডাক্তারি পরিভাষায় এটাকে বলে Premature Ejaculation (PE)
দ্রুত বীর্যপাত মূলত কোনো রোগ নয়। এটি পুরুষের একটি অসুবিধা। যৌন মিলনের সময় বীর্যকে নিয়ন্ত্রন করার অপারগতা। পৃথিবীতে এমন কোনো পুরুষ নেই যিনি কখনো এই সমস্যায় ভুগেননি। যতবড় শক্তিশালী আর সিংহ পুরুষই হোক না কেন প্রথমবার যৌন মিলনে শীঘ্রপতন ঘটবেই। অতিরিক্ত উত্তেজনা বা Excitement এর কারনে মূলত এই সমস্যাটি হয়ে থাকে। যৌন অভিজ্ঞতা ও বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটি ঠিক হয়ে যায়।
দ্রুত বীর্যপাতের কারণ :
বিভিন্ন কারণে দ্রুত বীর্যপাত হতে পারে । চলুন দেখে আসি কারণগুলো কি কি-
১) প্রথম সহবাস ঃ প্রথমবার যৌন মিলনে ৯০% পুরুষেরই দ্রুত পতন হয়ে যায়। যে পুরুষ জীবনে কখনো স্ত্রী সহবাস করেনি প্রথমবার যৌনমিলনের সময় তার মধ্যে একধরনের Anxiety বা Excitement কাজ করে। ফলে লিঙ্গ প্রবেশ করার সাথে সাথে বীর্যপতন হয়ে যায়। বিয়ের পর প্রথম তিন চার মাস খুব অহরহ এরকমটা হতে পারে। ছয় মাস পার হলে এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়।
২) দীর্ঘ বিরতিতে সহবাস ঃ দীর্ঘদিন বিরতি দিয়ে স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হলে পুরুষের Premature Ejaculation হতে পারে। ধরুন, স্বামী চট্টগ্রাম থাকেন আর স্ত্রী থাকে ঢাকায়। তাদের হয়তো দুই মাস বা তিন মাস পর পর সাক্ষাৎ হয়। এই অবস্থাতে যৌন মিলন করলে Early Ejaculation হতেই পারে। এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। উপর্যুপরি দুয়েকবার সহবাস করলেই এটা ঠিক হয়ে যায়।
৩) যৌন মিলনে তাড়াহুড়ো করা ঃ সেক্স করার সময় তাড়াহুড়া করলে দ্রুত বীর্যপাতের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কারণ তাড়াহুড়া করতে গেলেই অতিরিক্ত উত্তেজনা এসে পড়ে।ফলে শীঘ্রপতন হয়ে যায়।
৪) ভয় ও অস্থিরতা ঃ অনেক যুবককে দেখা যায় গার্লফ্রেন্ডকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে আড়ালে নিয়ে যায় লুকিয়ে সেক্স করার জন্য। কেউ দেখে ফেললে সর্বনাশ হয়ে যাবে এই ধরণের ভয় ও অস্থিরতা তাদের মধ্যে কাজ করে। এই ভয় ও অস্থিরতা থেকে তার কিন্তু Premature Ejaculation হয়ে যেতে পারে।
৫) পূর্বের কোনো ভুল অভিজ্ঞতা ঃ কেউ প্রথমবার কোনো গার্লফ্রেন্ড কিংবা পার্টনারের সাথে সেক্স করতে গিয়ে দ্রুত বীর্যপাত ঘটিয়ে ফেললে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। ভাবে ' আমি মনে হয় অক্ষম, আমাকে দিয়ে হবে না, আমি বিয়ে করতে পারবনা। তখন বন্ধুদের কাছে বিষয়টি শেয়ার করলে তারা বলে ' তোকে দিয়ে হবেনা! এটা তোর একটা রোগ। স্ত্রীকে তৃপ্তি দিতে পারবি না।' এই বলে তাকে মানসিক ভাবে দুর্বল করে ফেলে। এতে করে সে মনোবল হারিয়ে ফেলে।এটাও premature ejaculation এর একটা কারণ।
৬) নতুন কোনো সেক্স পজিশনের চেষ্টা ঃ নতুন কোনো আসনে যৌনসঙ্গম করার চেষ্টা করলে ওভার স্টেমুলুশন হওয়ার চান্স বেশি থাকে। এরই ফলশ্রুতিতে শীঘ্রপতন হতে পারে। তবে ভয়ের কিছুই নেই। আপনি যদি regular basis এ ঐ পজিশনে সেক্স করতে থাকেন আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন।
৭) অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ঃ অনেক পুরুষের দ্রুত বীর্যপাতের আরেকটা অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা। যৌন মিলন নিয়ে বেশি মাত্রায় দুশ্চিন্তায় থাকলে, হার্টবিট বেড়ে যায়। পারবো কি পারবো না, যদি না পারি বউ এর সামনে আজীবন মাথা নিচু করে থাকতে হবে। এই ধরনের সব টেনশন, দুশ্চিন্তা মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।
৮) অতিরিক্ত ক্লান্তি ঃ সারাদিন বাইরে কাজকর্ম করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলে শরীর খুব ক্লান্ত ও দুর্বল থাকে। এই সময় Sexual Activity করলে প্রি-ম্যাচিউর ইজাকিউলেশন হতে পারে। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো ফ্রেশ হোন, একটু Relaxation করুন, Comfortable একটা পরিবেশ তৈরি করুন, এরপর শুরু করুন।
৯) পার্টনারের নেতিবাচক মন্তব্য ঃ অনেক সময় দেখা যায় স্বামী একবার বা দুইবার না পারলে স্ত্রী তাকে কটু কথা শুনিয়ে দেয়। ' তুমি একটা কাপুরুষ। পারনা, বিয়ে করছ কেন ' ইত্যাদি ইত্যাদি। এমনিতেই স্বামী Anxious, টেনশন করছে তার উপর স্ত্রীর কটুকথা তাকে আরও নার্ভাস বানিয়ে দেয়। এর ফলে সে ততবারই সঙ্গম করতে যায় Premature Ejaculation হয়ে যায়।এইক্ষেত্রে একজন আদর্শ স্ত্রীর কর্তব্য হচ্ছে স্বামীর কনফিডেন্স ফিরিয়ে আনার জন্য তাকে যথেষ্ঠ সাপোর্ট দেওয়া। স্ত্রী যদি বলে ' তুমি একবার পারনি তাতে কী হয়েছে, পরের বার পারবে '। তখন তার আত্মবিশ্বাস অনেক গুণ বেড়ে যায়।
১০) দাম্পত্য কলহ ঃ স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি, মন কষাকষি, সংসারে অশান্তি থাকলে, এরকম পরিস্থিতিতে Sexual Performance মোটেও ভাল হবে না।
১১) অতিরিক্ত হস্তমৈথুন ঃ অনেকেই যৌবনের তাড়নায় প্রচুর পরিমাণে মাস্টারবেশন করে থাকে। মাস্টারবেশন করার সময় কেউ ডাকাডাকি করবে বা কেউ এসে পড়তে পারে এই ভয়ে তাড়াতাড়ি বীর্য বের করে ফেলে। দীর্ঘদিন যাবত এই রকমটা করতে করতে পেনিস কিন্তু অবেচেতনভাবেই স্পেশাল এই স্টাইলটা শিখে ফেলে। এবং পুরুষাঙ্গ অতিমাত্রায় সেনসিটিভ হয়ে যায়। যার ফলে মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অতিদ্রুত বীর্যস্খলন হয়ে যায়। আপনার কি মনে আছে প্রথমবার হস্তমৈথুন করে বীর্য বের করতে কতটা সময় আর কি পরিমান পরিশ্রম করতে হতো ? আর এখন এক মিনিটেই হয়ে যায়। এটার কারণ হচ্ছে এই অতিরিক্ত হস্তমৈথুন।
১২) চটি গল্প বা পর্ণ ভিডিওতে আসক্ত ঃ চটি গল্প বা পর্ণগ্রাফি ভিডিও দেখার পর সেক্স করলে Premature Ejaculation হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।পর্ণ ভিডিও অথবা চটি গল্প পড়ে সেক্স করতে গেলে বেশি মাত্রায় উত্তেজনা চলে আসে।ফলে বীর্য তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ে।
১৩) লিঙ্গের অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা ঃ যেসব পুরুষের লিঙ্গ অতিমাত্রায় সংবেদনশীল (hyper sensitive) তারা যৌন মিলন করার সময় তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। যোনীতে লিঙ্গের অগ্রভাগ স্পর্শ করার সাথে সাথে বীর্যস্খলন হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে আপনার লিঙ্গের সংবেদনশীলতা কমানোর জন্য ফার্মেসিতে লাইডোকেইন বা বেনজোকেইন নামে এক ধরনের অ্যানাস্থেসিক স্প্রে বা ক্রীম পাওয়া যায়। সহবাসের ১০ মিনিট আগে পেনিসের মাথায় এটি ব্যবহার করলে অনেকক্ষণ স্ত্রী সহবাস করা যায়।
১৪) শারীরিক অসুস্থতা ঃ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, মূত্রনালীর সংক্রমণ ও প্রদাহ , প্রোস্টেট গ্রন্থির সমস্যার কারণেও Premature Ejaculation হতে পারে।
দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা
১) উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা ঃ
সহবাস করার সময় কোনো ক্রমেই দ্রুত উত্তেজিত হ ওয়া যাবেনা এবং তাড়াহুড়া করা যাবেনা। অনেককেই দেখা যায় স্ত্রীর সাথে যৌন ক্রিয়া শুরু করার সাথে সাথেই লিঙ্গ চালনা শুরু করে দেয়। আপনি যত বড় শক্তিশালী বীর বাহাদুর হোন না কেন এবং যত প্রকার কৌশল অবলম্বন করেন না কেন দ্রুত লিঙ্গ চালনা করলে আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটবেই ঘটবে। তাই নিজে উত্তেজিত না হয়ে বিভিন্ন উপায়ে স্ত্রীকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করুন।
২) কেগেল এক্সারসাইজের মাধ্যমে দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা ঃ
কিছু কিছু ব্যায়াম আছে যেগুলো প্রতিনিয়ত করলে শীঘ্রপতন হওয়া থেকে ১০০% মুক্তি পাবেন। প্রতিদিন পেলভিক ফ্লোর ব্যায়ামে দ্রুত বীর্যপাত নিয়ন্ত্রণের সাথে যুক্ত পেশীগুলো শক্তিশালী হয়। ফলে অকাল পতনসহ সকল প্রকার যৌন দূর্বলতা কাটিয়ে উঠে ভাল সেক্সুয়াল পারফরমেন্স করতে পারবেন।
৩) কনডমের মাধ্যমে দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা ঃ
যাদের পেনিস খুবই হাইপার সেনসেটিভ তারা একটির জায়গায় দুইটি কনডম পড়ে নিবেন। অথবা বাজারে বিশেষ ধরনের মোটা কনডম কিনতে পাওয়া যায় সেটিও পড়তে পারেন। এই কনডম লিঙ্গের অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা কমিয়ে দেয়। ফলে সঙ্গম দীর্ঘায়িত হয়। এছাড়াও বাজারে অবশকারক কিছু কনডম পাওয়া যায় যেটা পড়লে লিঙ্গ কিছু সময়ের জন্য অনুভূতিহীন হয়ে যায় ফলে লিঙ্গের অতিরিক্ত সেনসিটিভিটি কমে যায়। ফলে দীর্ঘক্ষণ সহবাস করা যায়। তবে কনডম পড়ার আগে অনেকক্ষণ ফোরপ্লে করে নিবেন। লক্ষ্য রাখবেন ফোরপ্লে করার সময় আপনার পেনিস যেন কোথাও কোনো স্পর্শ না পায়। আপনি নিজে হাত দিয়ে ধরবেন না, স্ত্রীকেও হাত দিয়ে ধরতে দিবেন না। এক কথায় পেনিস যেন কোনো জায়গায় স্পর্শ না লাগে , কোনো ঘর্ষণ না হয়।
৪) মন ডাইভার্টের মাধ্যমে দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা ঃ
স্ত্রী সঙ্গমকালে পুরুষাঙ্গ ভেজাইনাতে প্রবেশ করিয়ে চালনা করার সময় চেষ্টা করবেন মনটাকে অন্যদিকে সরিয়ে রাখতে। সেজন্য কল্পনায় আপনি গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে পারেন, Facebook এর পোস্ট দেখতে পারেন, Messanger চেক করতে পারেন। এটা করার আগে দীর্ঘক্ষণ ফোরপ্লে করে আপনার স্ত্রীকে যথেষ্ঠ Stimulate করে নিবেন। কারণ স্ত্রী স্টিমুলেইট অবস্থায় থাকলে খুব তাড়াতাড়ি তার অর্গাজম হওয়ার চান্স থাকে।
৫) স্কুইজ পদ্ধতির মাধ্যমে দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা ঃ
স্ত্রীকে পুরোপুরি উত্তেজিত করে লিঙ্গ চালনা করতে করতে যখন মনে করবেন বীর্য প্রায় বেরিয়ে যাচ্ছে, সাথে সাথে কাজ বন্ধ করে লিঙ্গের গোড়ায় দুই আঙ্গুল দিয়ে ক্লিপের মতো করে কয়েক সেকেন্ডের জন্য চেপে ধরে থাকুন। এরপর চাপ ছেড়ে দিয়ে ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ডের মতো বিরতি নিন। এই সময়ে ভুলেও লিঙ্গ চালনা করবেন না। যখন দেখবেন উত্তেজনা চলে গেছে তখন পুনরায় লিঙ্গ সঞ্চালন শুরু করুন। এভাবে আপনি যতক্ষন খুশী করতে পারবেন।
৬) পজ এন্ড প্লে পদ্ধতির মাধ্যমে দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা ঃ
এটি বহুল ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি। প্রায় অধিকাংশ পুরুষই এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করে থাকে। এই পদ্ধতিতে স্বামী লিঙ্গ চালনা করতে করতে এক পর্যায়ে যখন অনুভব করবেন বীর্য বেরিয়ে আসার উপক্রম হচ্ছে, সাথে সাথে লিঙ্গকে বাইরে বের করে ফেলুন অথবা লিঙ্গ যোনির ভিতরে থাকলেও সঞ্চালন বন্ধ করে দিয়ে চুপচাপ থাকুন। এই সময় যৌন কার্যক্রম বন্ধ রেখে নিজেকে অন্যমনস্ক রাখুন অর্থাৎ সুখ অনুভুতি থেকে মনকে অন্য দিকে সরিয়ে রাখুন। যখন অনুভব করবেন বীর্যপাতের সম্ভাবনা চলে গেছে তখন পুনরায় যৌন কার্যক্রম শুরু করুন। এই পদ্ধতির সফলতা নির্ভর করে প্রতিনিয়ত প্র্যাকটিসের উপর। প্রথম প্রথম এই পদ্ধতিতে সফলতা নাও পেতে পারেন। কিন্তু চেষ্টা এবং প্র্যাকটিস করলে আপনি যতক্ষন খুশী বীর্য ধরে রাখতে পারবেন।
৭) টেনসিং পদ্ধতির মাধ্যমে দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা ঃ
এই পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করার আগে আপনাকে একটা ধারণা দিই- মনে করুন আপনি রাস্তার ধারে প্রশ্রাব করতে বসসেন। অর্ধেক প্রশ্রাব হতেই হঠাৎ একজন লোক এসে পড়ল। আপনি তখন যেটা করবেন সেটা হচ্ছে - অন্ডকোষের নিচ থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চলে জুড়ে খিঁচুনি দিয়ে প্রশ্রাবটাকে বন্ধ করে দিবেন। এটাই হচ্ছে টেনসিং পদ্ধতি। অনুরূপভাবে
যৌন মিলনের সময় আপনি যখন অনুভব করবেন বীর্য প্রায় স্খলনের পথে তখন সকল প্রকার যৌন ক্রিয়া বন্ধ রেখে অন্ডকোষের নিচ থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চল কয়েক সেকেন্ডের জন্য প্রচন্ড শক্তিতে খিঁচে ধরে রাখবেন। এবার চাপ ছেড়ে দিন। এরপর আবার খিঁচে ধরুন, আবার ছাড়ুন। এভাবে যখন দেখবেন বীর্যস্খলনের সম্ভাবনা চলে গেছে তখন যৌন ক্রিয়া পুনরায় শুরু করুন। এভাবে আপনি যতক্ষন খুশী সঙ্গম চালিয়ে যেতে পারবেন।
৮) পজিশন চেঞ্জিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা ঃ
আপনি প্রতিদিন এক পজিশনে মিলন না করে ভিন্ন ভিন্ন পজিশনে মিলন করে দেখতে পারেন। স্ত্রীর উপরে উঠে সহবাস করতে গিয়ে দ্রুত বীর্যপাতের সম্ভাবনা তৈরি হলে , উপরে না উঠে কাঁত হয়ে শুয়ে সহবাস করতে পারেন অথবা স্ত্রীকে আপনার বুকের উপরে উঠিয়ে করতে পারেন।
৯) বীর্যস্খলনের মাধ্যমে দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা ঃ
প্রথমবার ইচ্ছা করেই স্ত্রীর যোনিতে বীর্যপাত ঘটিয়ে ফেলুন। কিছুক্ষণ পর পুনরায় শৃঙ্গার শুরু করুন। কিস করুন, আদর করুন। স্ত্রীকেও বলুন এরকম কিছু করতে যাতে লিঙ্গ দৃঢ় হয়। লিঙ্গের দৃঢ়তা ফিরে আসলে সহবাস শুরু করুন দেখবেন সঙ্গম দীর্ঘায়িত হচ্ছে। কিন্তু এই অভ্যাস প্রতিদিন করবেন না।
১০) মুখে কিছু রেখে দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা ঃ
সহবাসের সময় মুখে পান-সুপারি, দারুচিনি অথবা চুইংগাম জাতীয় কিছু ভরে রাখুন। সহবাসের সময় পান-সুপারি কিংবা চুইংগাম চিবালে মনোযোগ সরে থাকে। ফলে দীর্ঘক্ষণ স্ত্রী সহবাস করা যায়।
১১) পজিটিভ চিন্তার মাধ্যমে দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা ঃ
আপনি যদি চিন্তা করেন যৌন মিলনের সময় আপনার লিঙ্গ শক্ত হবে কি-না, স্ত্রীকে তৃপ্তি দিতে পারবো কি-না, আমাকে দিয়ে মনে হয় হবেনা , তাহলে আপনি পারবেন না। মনে সাহস, আত্মবিশ্বাস ও মানসিক শক্তি নিয়ে সহবাসে যাবেন। দেখবেন আপনি জয়ী।
১২) শ্বাস ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা ঃ
যৌন মিলনের সময় ধীরে ধীরে শ্বাস প্রশ্বাস নিবেন। ধীরে ধীরে শ্বাস প্রশ্বাস আপনার মনকে প্রশান্ত রেখে উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করবে। তাই লিঙ্গ চালনার সময় উত্তেজিত না হয়ে শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ রাখুন।
১৩) ঔষধের মাধ্যমে দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা ঃ
পেনিসের হাইপার সেনসেটিভিটি কমানোর জন্য লিডোকেইন নামে একধরনের স্প্রে বা জেল পাওয়া যায় ফার্মিসীতে। যৌনমিলনের ১০/১৫ মিনিট আগে পেনিসের মাথায় এটি ব্যবহার করলে দীর্ঘক্ষণ সহবাস করতে পারবেন।
১৪) খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা ঃ
ভাল পুষ্টিকর খাবার Premature Ejaculation নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সবসময় সুষম খাবার গ্রহনের চেষ্টা করবেন। যেসব খাবারে পুষ্টি উপাদান বেশি সেসব খাবার খাবেন। জিংক, ওমেগা-৩, ফ্যাটি এসিড ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করবেন। প্রতিদিন সকালে ১০০ গ্রাম ঈষদুষ্ণ দুধের সাথে ৫/৬টি বাদাম খাবেন। অকাল বীর্যপাতের চিকিৎসায় আপনি পাকা কলা খেতে পারেন। কলাতে আছে পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি-৬ যা Early Ejaculation রোধে সহায়তা করে থাকে।
১৫) তাড়াহুড়া বা অস্থিরতা না করা ঃ
সেক্স করার সময় তাড়াহুড়া বা অস্থিরতার জন্য কিন্তু Premature Ejaculation হয়ে যায়। এ সময় মনটাকে সম্পূর্নরূপে শান্ত ও স্থির রাখতে হবে। কোনোভাবেই তাড়াহুড়া করা যাবেনা। তাড়াহুড়া করতে গেলে আপনি Over Stimulated হয়ে যেতে পারেন। একবার over Stimulated হয় গেলে আপনি বীর্য ধরে রাখতে পারবেননা। মনে রাখবেন আপনার কাজ হচ্ছে আপনার পার্টনারকে উত্তেজিত করা। আপনি নিজে উত্তেজিত হবেন না। মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখবেন।
১৬) নিজেকে দায়িত্বশীল ভাবুন ঃ
আপনি যখন স্ত্রীর সাথে যৌনমিলন শুরু করবেন সবসময় চিন্তা করবেন যে আমি আমার নিজের আনন্দের জন্য সেক্স করছি না; আমি আমার স্ত্রীকে খুশি করার জন্য করছি। ঠিক এই কথাটাই মাথায় রেখে ধীরে সুস্থে শান্তভাবে কাজটা শুরু করুন। স্ত্রীকে ভালবাসুন , আদর করুন। একটা কথা মনে রাখবেন অকাল বীর্যপাতে পুরুষের কোনো সমস্যা হয়না। কারণ একজন পুরুষের ভেজাইনার ভিতরে বা বাইরে যেখানেই বীর্যস্খলন হোক না কেন তার কিন্তু অর্গাজমটা হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রবলেমটা হচ্ছে মূলত স্ত্রীর। একজন পুরুষ যদি একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অঙ্গ চালনা করতে না পারেন, স্ত্রী কিন্তু একধরণের মানসিক কষ্টতে ভোগে থাকেন। তাই তরিগরি না করে ঠান্ডা মাথায় শুরু করুন।
দ্রুত বীর্যপাত সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর পর্ব
প্রশ্ন : দ্রুত বীর্যপাত (Premature Ejaculation) কী
উত্তর: - Premature Ejaculation হচ্ছে যৌন ক্রিয়ার সময় সঙ্গিনীর যৌন আনন্দ লাভের আগেই পুরুষের বীর্যস্খলন ঘটে যাওয়া।
প্রশ্ন : দ্রুত বীর্যপাতের লক্ষণ কি?
উত্তর: - দ্রুত বীর্যপাতের লক্ষণ হলো পুরুষাঙ্গ স্ত্রীর যোনিতে প্রবেশের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বীর্যস্খলন ঘটে যাওয়া। অনেকের ক্ষেত্রে আবার পুরুষ লিঙ্গ যোনিতে প্রবেশের আগেই বীর্যস্খলন হয়ে যায়।
প্রশ্ন Premature Ejaculation কি কোনো রোগ ?
উত্তর: - না । এটি কোনো রোগ নয়। পুরুষের একটি অসুবিধা। যৌন মিলনের সময় বীর্যকে নিজের ভিতরে আটকিয়ে রাখতে ব্যর্থ হওয়া। পৃথিবীতে অধিকাংশ পুরুষই কখনো না কখনো এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। প্রথমবার যৌন মিলনে স্বাধারণত অকাল বীর্যপাত হতেই পারে, এটা কোনো প্রবলেম না। অতিরিক্ত উত্তেজনার কারনে মূলত এই রকমটা হয়ে থাকে। যৌন অভিজ্ঞতা ও বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটি ঠিক হয়ে যায়।
অনেকেই বিয়ের পর প্রথম কয়েকবার Premature Ejaculation হয়ে গেলে ঘাবড়ে যান। ঘাবড়ানোর কিছুই নেই। কয়েক মাস রীতিমতো সহবাস করার পর এটি এমনিতেই ভাল হয়ে যায়। তখন আপনি আপনার বীর্য যতক্ষন খুশী ধরে রাখতে পারবেন। Ejaculationটা সম্পুর্ন আপনার মনের control এ চলে আসবে। তখন আপনি চাইলে বীর্যস্খলন হবে, না চাইলে বীর্যস্খলন হবে না।
প্রশ্ন দ্রুত বীর্যপাতকে কখন সমস্যা মনে করবেন ?
উত্তর: - এটি নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছুই নেই। বিশ্বের শতকরা ৩০% থেকে ৪০% পুরুষ নরমালি এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। পরবর্তীতে ঠিক হয়ে যায়। তবে যদি শারীরিক কারণে সমস্যাটি হয়ে থাকে এবং আপনি যদি মনে করে থাকেন দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও সমস্যাটি হচ্ছে তাহলে আপনি একজন ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন। ভয়ের কিছুই নেই। ডাক্তারকে সমস্যাটির কথা বললেই তিনি বুঝে যাবেন। এটার জন্য কোনো প্রকার Test বা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। আপনার স্ত্রীকেও সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন। ডাক্তার বাবু কিছু ঔষধ লিখে দিবেন, কিছু কাউন্সিলিং করবেন। সব ঠিক হয়ে যাবে। আমি আবারও বলছি এটা কোনো রোগ নয়। পুরুষের একটা সমস্যা মাত্র।
প্রশ্ন: দ্রুত বীর্যপাত সাধারণত কেন হয়ে থাকে?
উত্তর: - অকাল বীর্যপাতের কারণ গুলো হলো
- দুশ্চিন্তা,হতাশা, মানসিক চাপ, উদ্বেগ ইত্যাদি।
- দাম্পত্য কলহ।
- আত্মবিশ্বাসের অভাব।
- অতিরিক্ত উত্তেজনা।
- লিঙ্গের অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা।
- মূত্রনালীর সংক্রমণ ও প্রদাহ।
- প্রোস্টেট গ্রন্থির সমস্যা।
- যৌন অনভিজ্ঞতা।
- ডায়াবেটিস।
- হার্টের সমস্যা।
- পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব।
- হরমোনাল সমস্যা।
- ধুমপান কিংবা মাদক জাতীয় দ্রব্য সেবন।
প্রশ্ন: ঘনঘন হস্তমৈথুনের কারণে কি দ্রুত বীর্যপাত হতে পারে ?
উত্তর: হ্যা, হস্তমৈথুনের কারণেও premature ejaculation হয়ে থাকে। মনে করুন আপনি হস্তমৈথুন করার জন্য বাথরুমে ঢুকলেন। ধরুন, হস্তমৈথুনের মাধ্যমে বীর্যস্খলন ঘটাতে আপনার ২০ মিনিট সময় লাগে। আপনি যদি ২০ মিনিট সময় বাথরুমে হস্তমৈথুন করতে থাকেন, তাহলে কেউ আপনাকে খোঁজাখুঁজি করতে পারে। অথবা আপনার অবচেতন মনই আপনাকে তাড়া দিবে দ্রুত বীর্য আউট করে ফেলতে।এরই ফলশ্রুতিতে ২০ মিনিটের জায়গায় ২ মিনিটে বীর্য আউট করার বিশেষ এই স্টাইলটা আপনার পেনিস রপ্ত করে ফেলে।পরবর্তীতে সঙ্গম ২ মিনিটের বেশি এগোয় না।
প্রশ্ন: দ্রুত বীর্যপাত জনিত সমস্যার স্থায়ী কোনো সমাধান আছে কি?
উত্তর: হ্যা আছে। দ্রুত বীর্যপাতের সমাধান -
- প্রতিদিন নিয়ম করে কেগেল এক্সারসাইজ করা।
- সুষম খাবার খাওয়া।
- স্টপ এন্ড স্টার্ট টেকনিকটি নিয়মিত প্র্যাকটিস করা।
- প্রতিদিন ডিম, দুধ, কলা ও মধু খাবেন।
প্রশ্ন: বীর্যপাত বন্ধ রেখে ৩০ মিনিটের মতো সময় সহবাস করার উপায় কি?
উত্তর:
- যৌন মিলনের সময় যখন মনে হবে বীর্যস্খলন প্রায় হয়ে যাচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে লিঙ্গ চালনা বন্ধ করে দিন। বীর্যপাতের ভাব চলে গেলে আবার শুরু করুন। এই কৌশল অবলম্বন করে আপনি ৩০ মিনিট কেন , তারও বেশি সময় সেক্স করতে পারবেন
- যোনিতে লিঙ্গ সঞ্চালন করতে করতে বীর্য বেরিয়ে আসার উপক্রম হলে দুই আঙ্গুলের সাহায্যে লিঙ্গের গোড়া কয়েক সেকেন্ডের জন্য চেপে ধরুন। বীর্যস্খলনের সম্ভাবনা চলে গেলে আবার শুরু করুন।
- যৌন মিলনের সময় মনকে অন্য দিকে সরিয়ে রাখুন। যেমন কোনো দুঃখজনক ঘটনার কথা স্মরণ করুন অথবা মনে মনে কোনো হিসাব নিকাশ করুন।
- নিয়মিত কেগেল ব্যায়াম বা পেলভিক ফ্লোর ব্যায়াম করুন। এই ব্যায়াম যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
- প্রতিদিন স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন।
প্রশ্ন: যৌন মিলনের আদর্শ সময় কত মিনিট ?
উত্তর: ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ সেক্সুয়াল মেডিসিন এ প্রকাশিত তথ্য মতে একটি আদর্শ যৌন মিলনের সময় সীমা হচ্ছে ৭ থেক্ত ১৩ মিনিট।
প্রশ্ন: দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসায় কি কি খাবার সাজেস্ট করা হয়ে থাকে ?
উত্তর:
- প্রতিদিন সকালে ও রাতে ২/৩ পিছ খেজুর খাবেন । খেজুর যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ ও একটা ডিম খাবেন।
- মিষ্টি কুমড়ার বীজ বাদাম জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাবেন।
- প্রতিদিন ২/৩ কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন। রসুন যৌন ও হৃদরোগের জন্য অনেক উপকারী।
- সিজনাল ফল যেমন পেয়ারা, আঙ্গুর, লেবু, কমলা, মাল্টা ও ডালিমে প্রচুর যৌন শক্তি বর্ধক উপাদান থাকে।
- লাল গরুর মাংশ যৌন জীরনের জন্য অনেক উপকারী।
এই ছিল শীঘ্রপতন বা premature ejaculation সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। এই পোস্টে শীঘ্রপতন কী, শীঘ্রপতনের লক্ষণ, শীঘ্রপতনের কারণ এবং শীঘ্রপতনের স্থায়ী চিকিৎসা সম্পর্কে চমৎকার আলেচনা করা হয়েছে। পোস্টটি বিবাহিত, অবিবাহিত সকলের জন্য অনেক উপকারী হবে বলে আশা করি ।